চাকরির জন্য কোন জায়গায় ট্রেনিং করা দরকার

জীবনে ভালো একটি চাকরি পাওয়ার জন্য শুধু ডিগ্রি থাকাই যথেষ্ট নয়। আজকাল চাকরিদাতারা বিশেষ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা খোঁজেন। তাই চাকরির জন্য ট্রেনিং নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ট্রেনিং কোথায় এবং কীভাবে করা উচিত?

কেন ট্রেনিং দরকার?

চাকরির ক্ষেত্রে শুধু বইয়ের জ্ঞান দিয়ে কাজ চালানো যায় না। বাস্তব জীবনে কাজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকতে হয়, যেমন:

  • কম্পিউটার চালানো
  • ভালোভাবে যোগাযোগ করা
  • সমস্যার সমাধান করা

যারা নতুন চাকরির বাজারে পা রাখছেন, তাদের জন্য এই স্কিলগুলো শেখা জরুরি।

ট্রেনিং করার সঠিক জায়গা

চাকরির জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং প্রয়োজন হতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গার তালিকা দেওয়া হলো যেখানে ট্রেনিং নেওয়া যায়:

১. সরকারি ট্রেনিং সেন্টার

বাংলাদেশে অনেক সরকারি ট্রেনিং সেন্টার আছে যেখানে বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে বিভিন্ন কোর্স করানো হয়। উদাহরণ:

  • BITAC: এখানে মেশিনারি ও টেকনিক্যাল স্কিল শেখানো হয়।
  • BMET: বিদেশে কাজ করতে চাইলে BMET-এর মাধ্যমে ট্রেনিং নিতে পারেন।

২. বেসরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট

অনেক প্রাইভেট ইনস্টিটিউট আছে যেখানে আপনি পেশাদার স্কিল শিখতে পারেন। যেমন:

  • ইনফোলোপ আইটি সেন্টার: এখানে কম্পিউটার এবং আইটি সম্পর্কিত কোর্স করানো হয়।
  • কর্পোরেট ট্রেনিং সেন্টারস: যারা অফিস ব্যবস্থাপনা বা কর্পোরেট কালচারের ওপর ফোকাস করে।

৩. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম

যদি সময় বা বাজেট কম থাকে, তাহলে ঘরে বসেই ট্রেনিং নেওয়া সম্ভব। জনপ্রিয় কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:

  • Coursera
  • Udemy
  • Skillshare

অনেক সময় ফ্রিল্যান্সার বা রিমোট কাজের জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলো খুবই কার্যকর।

৪. শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির ওয়ার্কশপ

অনেক কোম্পানি নতুন কর্মীদের জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করে। সেখানে যোগ দিলে চাকরির আগে কাজ শেখা সম্ভব।

কোন স্কিলের জন্য কোন জায়গা?

আপনার কাজের ধরন এবং আগ্রহের ওপর নির্ভর করে ট্রেনিং বেছে নিতে হবে।

  • কম্পিউটার স্কিল: BITM, Udemy, LICT
  • যোগাযোগ দক্ষতা: কর্পোরেট ট্রেনিং সেন্টারস, Toastmasters
  • প্রযুক্তিগত কাজ: BITAC, BMET
  • ফ্রিল্যান্সিং: Fiverr Learn, Upwork Academy

কীভাবে সঠিক ট্রেনিং নির্বাচন করবেন?

১. নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনি কোন কাজ করতে চান তা আগে ভাবুন।
২. রিভিউ দেখুন: ট্রেনিং প্রোভাইডার সম্পর্কে ভালো-মন্দ খোঁজ নিন।
৩. সময় এবং খরচ মিলিয়ে দেখুন: আপনার বাজেট ও সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।

পরামর্শ

ট্রেনিং নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর পর চাকরির জন্য আবেদন করুন। সিভিতে ট্রেনিংয়ের উল্লেখ করলে তা চাকরিদাতার কাছে আপনার গুরুত্ব বাড়াবে।

সঠিক জায়গায় ট্রেনিং নিলে চাকরির বাজারে নিজেকে প্রস্তুত করতে আর সমস্যা হবে না। সুতরাং দেরি না করে আজই শুরু করুন!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *